সাভার ট্রাজেডিঃ বানী চিরন্তনী !!

শুরুটা একটা প্রশ্ন দিয়ে করিঃ একদল পন্ডিত রানা খুলনায় আছে এটা ফ্যাসবুকে শেয়ার হওয়ার সাথে সাথে তথ্যটি ভুল, তথ্যটি শাগুদের চাল, যারা তথ্যটি শেয়ার করছে তারা নির্বোধ ইত্যাদি ইত্যাদি বলে প্রতিবাদ করে গলা ফাটিয়ে ফেলেছিল। যেই তথ্যের ভিত্তিতে এক ঘন্টার মাথায় খুলনায় র‍্যাব-পুলিশ অভিজান চালাল এবং শেষমেস যশোরের বেনাপোল থেকেই গ্রেপ্তার করা হল রানাকে। তবে কেন বা কি কারনে এই তথ্য শেয়ার করাতে একদলের এত কস্ট হচ্ছিল "রানাকে বাঁচাতে নাকি পণ্ডিত সাঁজতে? " ঘটনার শুরু আজ সকাল ১১টা নাগাদ আমার এক ফ্যাসবুক ফ্রেন্ড একটা পোস্ট শেয়ার করে তাতে দেখতে পাই রানা খুলনা , সোনাডাঙ্গায় রয়েছে। পরে একটু খেয়াল করে দেখলাম মুল লিখাটি আমার উক্ত ফ্রেন্ড "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" নামক পেজ থেকে শেয়ার করেছে। আমাদের সকলেরই জানা পেজটি বর্তমানে ফ্যাসবুকে অন্যতম জনপ্রিয় বা এক পক্ষের মতে বিতর্কিত পেজ, এক পক্ষ দাবি করে "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" সবসময় মিথ্যচার করে। "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" মিথ্যাচার করে নাকি তারাই করে আজ তা আরেকবার স্পস্ট হল, ধারাবাহিক ভাবে এই লিখাটা পড়লেই আপনি এর উত্তর খুঁজে পাবেন। বারবারই বলা হচ্ছিল কেও যদি দেখে থাকেন রানাকে যেন ফ্যাসবুকের মাধ্যমে তা প্রচার করে দেওয়া হয়। সেই সুত্রেই হয়ত কেও উক্ত তথ্যটি "বাঁশেরকেল্লা - Basherkella" এর ফ্যানপেজের অ্যাডমিন কে বা অন্নান্য অ্যাডমিন কে ম্যাসেজ দিয়ে জানিয়েছেন। যে বা যারা জানিয়েছিল তাদের নাম এখনও জানা যায়নি। কিন্তু তার ঠিক ২.০০ থেকে ২.৩০ মিনিটের দিকে খুলনা , সোনাডাঙ্গায় রয়েছেন রানা ঐ তথ্যের বিরুধিতা বা ঐ তথ্যটি অপপ্রচার বলে আরেকটি পক্ষ গলা ফাটাতে শুরু করে। "শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ" নামক পেজটিতে তখন যা লিখা হইয়েছিল তা নিম্নরূপঃ "প্রচণ্ড রকমের হতাশ ও হতবাক হই ফেসবুকে নির্বোধের সংখ্যা দেখে। খুলনার কোনো একটা বাড়িতে সোহেল রানার দেখা পাওয়া গেছে -- বাড়ির ঠিকানা দিয়ে এই মর্মে একটা স্ট্যাটাস এসেছে একটা ফেইক আইডি থেকে। অমনি স্ট্যাটাসটা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে, আমার হোমপেজে স্ট্যাটাসটা বারবার আসছে shared হয়ে। শেয়ারকারীরা জানলই না, যে আইডিটা ('দাসত্ব শেকল') থেকে স্ট্যাটাসটা ছড়ানো হয়েছে, সে আইডিটা শিবিরচালিত একটা ফেইক আইডি। নির্বোধের দল কিছু না বুঝেশুনেই স্ট্যাটাসটা শেয়ার করা শুরু করল! রানা অত্যন্ত ধূর্ত ও প্রতাপশালী। এই খুনিটা এত বোকা না যে, তার পালাবার জায়গাটা এভাবে ফাঁস হয়ে যাবে। খুলনার যে বাড়িটার ঠিকানা ছাগুরা ছড়াচ্ছে, সেখানে নিশ্চয়ই এখন কিছু লোক জমে যাবে এবং সেখানে একটা দাঙ্গা-ফ্যাসাদ ঘটবে। আর সেই দাঙ্গা দেখে আনন্দে বগল বাজাবে ছাগুর পাল। খোঁজ নিলে দেখা যাবে স্ট্যাটাসে বর্ণিত ঐ বাড়িটি হয়তো কোনো মুক্তিযোদ্ধার বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো অনলাইন অ্যাকটিভিস্টের, তাকে হয়তো সেরেফ হয়রানিতে ফেলতেই তার বাড়ির ঠিকানা ছাগুরা ফেসবুকে ছড়াচ্ছে। এই সহজ হিশাবটা কেন বুঝি না আমরা? কেন এতটুকু কমন সেন্স না খাটিয়েই যা দেখি তাই শেয়ার করে বসি? সাইদিকে চাঁদে দেখা যাওয়ার কিংবা এনাম মেডিকেলে একশো লাশ লুকোবার গুজব যারা ছড়িয়েছে, খুলনায় রানাকে পাওয়ার গুজব ওরাই ছড়াচ্ছে। গুজব আর ফটোশপ ছাড়া ওদের কোনো অবলম্বন নেই। ওমুক ছবি শেয়ার দিলে ওমুক অসুস্থ ব্যক্তিকে ফেসবুক ১ডলার দেবে, ওমুক ছবিতে লাইক দিলে বা শেয়ার করলে নেকি পাওয়া যাবে -- এইজাতীয় বিভ্রান্তির ফাঁদে পা দেবেন না প্লিজ। ছাগু আইডিগুলো নিজ দায়িত্বে চিনে রাখুন। ছাগুদের দেয়া তথ্য বিশ্বাস করার আগে বা ছড়াবার আগে দয়া করে তা যাচাই করে নিন।" উক্ত লিখাটা পরে অবাক হয়েছিলাম কারন যেই ব্যাক্তি তথ্যটা দিয়েছে তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে বরং বাজে বোকা হল অথচ ঠিক তার এক ঘন্টার মাথায় খুলনায় র‍্যাব-পুলিশ অভিজান চালাল এবং শেষমেস খুলনার বেনাপোল থেকেই গ্রেপ্তার করা হল। তখন আরও হতাশ ও হতবাক হলাম এরা কি রানাকে বাঁচাতে চেয়েছিল নাকি পণ্ডিত সাঁজতে (খুলনা, সোনাডাঙ্গায় রানা উক্ত) তথ্যটি ভুল প্রমানে উঠে পরে লেগেছিল? যদি বাঁচাতে হয় তাহলে কিছুই বলার নেই শুধুই আরও হতাশ হব আর যদি হয় পণ্ডিত সাঁজতে তাহলে বলব গন্ড মুর্খ-এর দল তোমরা এখন থেমে যাও, যুক্তিহীন কথার বর্তমানে আর কোন মুল্য নেই। আরও কিছু বলাতে ইচ্ছে করছে তাদের তারা বলে ফেসবুকে নির্বোধের সংখ্যা দেখে তারা হতাশ ও হতবাক হচ্ছে, অথচ তাদের মত আহম্মক আর গন্ড মুর্খ দেখে আমরা শুধু হতাশ ও হতবাক নই রীতি মত তাদের আমরা আবাল মনে করি। তাদের চামচাগুলকে মনে হয় ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, কিছু না বুজেই নাচে। তারা মনে করে তারা যা বলবে তাই সত্য। এবার সেই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাগুলিকে কিছু বলব এত বিশ্বাস করিস যাদের, তোদের সেই পণ্ডিত-রাই বলল/বলেছিল "...যে আইডিটা ('দাসত্ব শেকল') থেকে স্ট্যাটাসটা ছড়ানো হয়েছে, সে আইডিটা শিবিরচালিত একটা ফেইক আইডি। নির্বোধের দল কিছু না বুঝেশুনেই স্ট্যাটাসটা শেয়ার করা শুরু করল!..." দাসত্ব শেকল কি এই তথ্য ফ্যাসবুকে শেয়ার দিয়েছে কিনা জানি না তবে দিয়ে থাকলেতো হলই আর যদি না দিয়ে থাকে তবে রানা গ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশের সাহসিকতার পুরষ্কার জোড় করেই শিবিরকে দিয়ে দেওয়া দিল? আরও একটা কথা আমাকে খুব অবাক করছে, তারা লিখেছে "খোঁজ নিলে দেখা যাবে স্ট্যাটাসে বর্ণিত ঐ বাড়িটি হয়তো কোনো মুক্তিযোদ্ধার বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো অনলাইন অ্যাকটিভিস্টের, তাকে হয়তো সেরেফ হয়রানিতে ফেলতেই তার বাড়ির ঠিকানা ছাগুরা ফেসবুকে ছড়াচ্ছে। এই সহজ হিশাবটা কেন বুঝি না আমরা? কেন এতটুকু কমন সেন্স না খাটিয়েই যা দেখি তাই শেয়ার করে বসি?" এখন আমার আফছুছ একটা জিনিষের প্রতিবাদ করতে কি বিন্দু পরিমান সত্য কিংবা তথ্য আপানারা জেনে নিতে পারেন না? আমার প্রশ্ন আপনাদের কি কমন সেন্স বলতে কিছু আছে? নাকি রানাকে বাঁচাতেই এই ব্যার্থ চেস্টা চালালেন? নাকি ছাগলের তিন নম্বার বাচ্চাদের সামনে পণ্ডিত সাঁজতে চেয়েছিলেন? সব শেষে তাদের উদ্দেশ্য বলব শুধু একটা পক্ষ এখনও আঁকড়ে ধরে বসে না থেকে সত্যকে মেনে নিন এবং অযথাই যুক্তিহীন তর্ক কোন লাভ নেই। যুক্তিহীন তর্ক, মিথ্যা তথ্য আর মনগড়া কথা শুধুই বিভেদ বাড়াবে কমাবে না। তাই সকলেরই বুদ্ধি বা কমন সেন্স এর উদয় হবে এই আশা করে আজকের মত এটুকুই।

বানীঃ ১

সামান্য একটু প্লাস্টার খুলে পড়েছে। এটা তেমন কিছু নয়।

– মো. সোহেল রানা,পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্ববায়ক, (রানা প্লাজার মালিক)

rana
গতকাল ফাটল দেখা দেবার পরে রানা প্লাজার মালিক পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্ববায়ক মো. সোহেল রানা  মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন এই কথা।

বানীঃ২

 আমরা আগে থেকেই সচেতন ছিলাম। আমরা জানতাম বলে সব লোক সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু মূল্যবান জিনিস সরিয়ে নিতে সকালে লোকজন সেখানে গিয়েছিল।

– মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

SHAK HASINA

 

বুধবার কমলাপুর স্টেশনে ডেমু ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বানী দিয়েছেন।

বানীঃ৩

ইমারত বিধিমালা অনুসরণ করে বিল্ডিং বানানো হয়নি। ঠিক উপাদানও এখানে ব্যবহার করা হয়নি। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আমরা এটি উদঘাটন করব। দোষীদের আইনি ব্যবস্থায় আনব।

 

mokha

ভবন মালিককে গ্রেপ্তার করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,

বিষয়টি আমার মাথায় আছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

–  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর

বানীঃ৪

‘কিছু হবে না। একটা পিলার ফাটলে কিছু হয় না!

– কর্তৃপক্ষ

 

গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই ভবনে ফাটল দেখা দিলে পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। আজ (বুধবার) কাজে গিয়ে শ্রমিকেরা তাঁদের আতঙ্কের কথা জানান। তবে কর্তৃপক্ষ তা কানে তুলে একথা বলেন।

 বানীঃ৫

আমরা কেউ ভবনে ঢুকতে চাচ্ছিলাম না। বসরা আমাদের লাঠি নিয়ে তাড়া করেন। পরে বাধ্য হয়ে আমরা কারখানায় যাই।

 গার্মেন্ট শ্রমিক নুরুল ইসলাম

বানীঃ৬

গতকাল যখন ফাটল দেখা গেল তখনই শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যেন কারখানা বন্ধ রাখা হয়। আমরা বলেছিলাম, বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে পরীক্ষা করার পর কারখানা খোলা যাবে কি না জানানো হবে।”

“কিন্তু শিল্প পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করে মালিকদের একক সিদ্ধান্তে বুধবার সকালে তারা কারখানা খুলে দেয়।”

 

Police-bg20130319061420
– শিল্প পুলিশের পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান

বানীঃ৭

মঙ্গলবার ফাটল ধরার পরপরই বিজিএমইএর একটি পরিদর্শক দল শিল্প পুলিশের সঙ্গে ভবনটি ঘুরে দেখে। পরে ভবনের মালিককে বলা হয় যাতে বুয়েট থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে পরীক্ষা করা পর্যন্ত ভবনটি বন্ধ রাখা হয়।…. ভবন বন্ধ রাখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করলেও পরে তা তিনি মানেননি … ।
তার সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য বিজিএমইএ সুপারিশ করবে।

 

atikul islam

– বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম

বানীঃ৮

কিছু হরতাল সমর্থক সাভারের ধসে পড়া ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সাম্ভাব্য কারণ হতে পারে।

– বিবিসিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর

mokha2

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারটি গতকাল রাতের অধিবেশন পরিক্রমায় প্রচার হয়েছিলো। বাংলাদেশে রাত সাড়ে দশটায়। 

অবস্থান পাল্টালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীঃ

একটি দৃশ্যমান ইমারত যখন ভেঙ্গে পড়ছে, যখন ফাটল দেখা যাচ্ছে, তখন সেখানে গিয়ে এই যে কাজ করা হয়েছে- যেটা অমানবিক।

বিবিসি কে দেয়া নিজের আগের বক্তব্যে অটুট ছিলেন মন্ত্রী। পরে নিজ দলের মধ্যেই সমালোচিত হলে তিনি নিজ অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসেন। এবং দোষ চাপান সংবাদমাধ্যমের উপর।

 বানীঃ ৯

‘রানা প্লাজার মালিক স্থানীয় যুবলীগ নেতা বলে গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আমি সাভারের যুবলীগের কমিটির নাম নিয়ে এসেছি। সেখানে রানার নাম নাই।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সাভারের এই মর্মান্তিক ঘটনার ওপর দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রানা সাভারের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। সাংসদ তৌহিদ জং মুরাদ তাঁর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রানা ও তাঁর বাহিনীকে ব্যবহার করেন।

কেউ যদি অপরাধী বা সন্ত্রাসী প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অবস্থা বিবেচনায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

–  যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন রানা যুবলীগের কেউ না, আর যুবলীগ বলে আমরা রানাকে বহিষ্কার এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। হা হা হা সেলুকাস। এ প্রসঙ্গে আমার বন্ধু অর্ণবের স্ট্যাটাস…

যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কত্ত বড় দুঃসাহস!!! যেখানে আপা নিজে কইসে রানা যুবলীগের কেউ না, সেইখানে তারা নাকি রানা কে বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতাছে…… আপার কথাকে মিথ্যা প্রমান করার অভিযোগে যুবলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হোক……

 বানিঃ ১০

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল না করলে এমন ট্রাজেডি হতো না

–  বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

উনার মত বিজ্ঞজনের কাছ থেকে এমন ধরনের বক্তব্য আমি কখনই আশা করি নাই। যদিও এই নিউজ বাংলানিউজ২৪.কম ছাড়া আর কোথাও পাই নাই।

 

বানীঃ ১১

‘সোহেল রানা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কেউ না। আমার সাথেও তার কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ যদি পোস্টার ছেপে সেখানে আমার ছবি সাঁটিয়ে দেয়, তাহলে আমার করার কী আছে? এ ছাড়া নিজেকে যদি সে পৌর যুবলীগের স্বঘোষিত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়, তাহলে সেটা ঠেকাবেই বা কে? সে যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবেই। এই মুহূর্তে আগে প্রয়োজন উদ্ধার তৎপরতা চালানো। সেটা শেষ হোক, তারপর দেখেন আমি কী করি।’

– সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ

 

381380_561268947239874_804569173_n

 

 

বানীঃ১২

আবার আরেকটা ভবন ধ্বস, আরেকটা অগ্নিকান্ড, আরেকটা হত্যাকান্ড দেখার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাক। বাংলাদেশে এটা পুরাতন কিছু নয়। একটি চলমান প্রক্রিয়া। কেউ বলবে আল্লাহ্‌র মাল আল্লাহ্‌ উঠাই নিছে, কেউ বলবে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের ধরা হবে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আশা হবে, কেউ বলবে এটা বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র, কেউবা লাশের দাম নির্ধারণ করবে ২০০০০ থেকে ৫০০০০টাকা, অথবা একটা ছাগল। সুতরাং আক্ষেপ, আফসুস, চোখের পানি, শোকবানী এগুলা ত্যাগ করে পরেরবারের জন্য মনকে শক্ত করো। কারন এর পরেরবার নিজেই হয়ত ঐ ২০০০০টাকা/ ছাগল আনতে যাবো। আর না হয় আমার নিজের লাশের দামটাই হবে ২০০০০টাকা/ একটা ছাগল।

শেষ কথাঃ

লাশের মিছিলে যেন আমিই জীবন্ত লাশ,
যার কিছু করার ক্ষমতা নেই,
শুধু চেয়ে দেখবে লাশের সারি,
টিভির পর্দায় উপভোগ করবে লাইভ বিনোদন……

ক্ষমা কর আমায় প্রিয় মুখগুলি-
যারা বিদায় নিলে আজ,
পিশাচদের খুনের নেশায়……

Related posts

Leave a Comment